বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সময় অনুযায়ী সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যার দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশে ফেরার ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো। যুক্তরাজ্যে অবসান ঘটিয়ে এই দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তারেক রহমান এখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে শক্তিশালী উপস্থিতি তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এই ঐতিহাসিক ঘটনার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে রিপোর্ট করছে। বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, “বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা এই শীর্ষ নেতা ১৭ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন।” একই খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা শিরোনাম করেছে, “বিরোধী দলের নেতা তারেক রহমান ১৭ বছর পর দেশে ফিরলেন।”
মালয়েশিয়ার দ্য স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েও খবর ছাপিয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এই নেতা দেশের গভীর নির্বাচনী প্রচারের আগে ফিরেছেন।”
বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের এই ফিরতে ভারতের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ বিষয়ে নানা বিশ্লেষণ চালাচ্ছে। দ্য উইক তাদের শিরোনামে লিখেছে, “তারেক রহমানের ফিরে আসা কি ভারতের জন্য সুখবর?” এরপর তারা বিশ্লেষণ করছে, এ প্রত্যাবর্তন কি কর বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং তা ভারতের বিশেষ স্বার্থের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত।
তীব্র আলোচনা চলছে, বিশেষ করে ভারতের বিভিন্ন বিশ্লেষকরা বলছেন, তারেক রহমানের এই ফেরার ঘটনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের গভীর জটিলতা এবং এই পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে নানা কল্পনা ও বিশ্লেষণ করে যাচ্ছে।
এদিকে, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে, রাজধানীর পূর্বাচলে ৩০০ ফুট সম্প্রসারিত একটি সুবিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এই মঞ্চে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো নেতাকর্মী সমাগম হয়েছে, যারা উত্সাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন। বহুমাত্রিক এই ঘটনা বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী মুহূর্ত বলে বিবেচিত হবে।
আজকের দিনটি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে দেশের রাজনীতি আবারও নতুন রঙে রঙিন হতে চলেছে।

