যুক্তরাজ্যের লন্ডনে দীর্ঘ নির্বাসনের পরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করে বাংলাদেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১:৪০ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন, যেখানে তাকে স্বাগত জানাতে বিশাল সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। তারেক রহমানের এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো ব্যাপক গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে।
বিবিসি তার শিরোনামে লিখেছে, “বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে থাকা শীর্ষ নেতা ১৭ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন।” অন্যদিকে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা তাদের আর্টিকেলে বলেছে, “১৭ বছরের নির্বাসনের পর বিরোধী দলীয় নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরেছেন।”
মালয়েশিয়ার দ্য স্ট্রেইট টাইমস উল্লেখ করেছে, “বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী নেতা হিসেবে বিবেচিত তারেক রহমান ভোটের আগে দেশে ফিরলেন।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবরের পাশাপাশি বিশ্লেষণ করছে, যেখানে অনেকের মতে, তারেক রহমানের দেশে ফিরাটা ভারতের জন্য ইতিবাচক। দ্য উইক তাদের শিরোনামে লিখেছে, “তারেক রহমানের ফিরে আসা কি ভারতের জন্য ভাল খবর?” এর সঙ্গে তারা বিশদ বিশ্লেষণও উপস্থাপন করেছেন। ন্যাশনাল নিউজের ইন্ডিয়া টুডে তাদের রিপোর্টে লিখেছে, “খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান দেশে ফিরেছেন, এটি ভারতের জন্য কেমন?” তারা নিজেদের মতামত ও বিশ্লেষণ দিয়ে বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করেছেন।
উদযাপনের অংশ হিসেবে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট সড়কের বিস্তৃত একটি মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে, যা নজরকাড়া-প্রতীকী হিসেবে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করতে পার্টি এবং দলীয় নেতাকর্মীরা দোয়া, সংবর্ধনা ও মহতী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। দেশজুড়ে এই ঘটনা যেন মানুষের আস্থা ও চেতনায় নতুন স্নিগ্ধক্ষরণ সৃষ্টি করেছে।

