বৈশাখী টেলিভিশন সফলতার ২১ বছরে পা রাখল। বাংলাদেশে সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য লালনের দায়িত্ব নিয়ে ২০০৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর এই বেসরকারি চ্যানেলটির পথচলা শুরু হয়। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান, সংগীত, নাটক এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ দিয়ে চ্যানেলটি তার স্থান তৈরি করে নিয়েছে।
অতীতে অর্জন স্মরণে এবং নতুন বছরের শুভ সূচনা উপলক্ষে শনিবার দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১১টায় বৈশাখীর পরিবারের সদস্য, গণমাধ্যমের ব্যক্তিত্ব ও নানা শ্রেণির দর্শকদের উপস্থিতিতে এক বিশেষ কেক কাটা অনুষ্ঠান হয়। এর আগে, সকালে ৮টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হয় ‘২১ বছরে বৈশাখী’ শিরোনামের লাইভ সংগীতানুষ্ঠান, যা রাত ১০টা পর্যন্ত চলে। এই অনুষ্ঠানের মাঝখানে দেশের স্বনামখ্যাত রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিত্ব ও শিল্পীদের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মর্যাদা বাড়ানো হয়।
প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি হেড অব প্রোগ্রাম লিটু সোলায়মানের প্রযোজনা আয়োজনে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় ১০টি সেগমেন্টে ‘২১ বছরে বৈশাখী’ অনুষ্ঠান। এতে সকাল ৮:৩০ মিনিটে আইনুন পুতুলের উপস্থাপনায় দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী অনন্যা আচার্য্য ও মিথিলা মল্লিক। এরপর এই দিন সকাল ৯:১৫ মিনিটে রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত পরিবেশিত হয় অণিমা রায় ও ইউসুফ আহমেদ খানের সৌজন্যে।
অপরদিকে সকাল ১০:১৫ মিনিটে স্বর্ণালী দিনের সংগীত পরিবেশন করেন খুরশিদ আলম ও চম্পা বণিক। দুপুরে দুপুর ১২:১০ মিনিটে আধুনিক গান গাইতে আসেন সাব্বির ও শবনম প্রিয়াংকা। দুপুর ১:১০ মিনিটে রাড়ুঞ্জে করেন রাজীব ও শিলা দেবী। বিকেল ২:৩৫ মিনিটে ফোক গান পরিবেশন করেন কামরুজ্জামান রাব্বী ও লিটা সরকার, এরপর বিকাল ৩:৫০ মিনিটে একই শৈলী অন্যান্য শিল্পীরা।
সন্ধ্যার সময়, ৫:৩০ মিনিটে তাবাসসুম প্রিয়াংকার উপস্থাপনায় লিজা ও তার দল ফোক গান পরিবেশন করেন। রাত ৮টায় সালমা ও তার দল ফোক গান দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেন।
রাত ১০টায় প্রচারিত হয় ‘স্বভাব দোষে’ নামে বিশেষ নাটকটি, যা রচনা ও পরিচালনা করেছেন সাজিন আহমেদ বাবু। এতে অভিনয় করেন মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি, আজম খান, অনুভব, রাইজা রশিদ, তাসনিম হেলেন প্রভা প্রমুখ।
আনন্দের পাশাপাশি, রাত ১২টায় দেখানো হয় বাংলা সিনেমা ‘শিকারী’, যেখানে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, কলকাতার শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী ও অরজিৎ সিং।
উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা অত্যন্ত চমৎকার একটি দিন। ২১ বছর একটি চ্যানেলের জন্য অনেক বড় অর্জন। এই দীর্ঘ পথচলা সম্ভব হয় এক্ষেত্রে যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তারা সবাই আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দর্শকদের ভালোবাসার জন্য। ভবিষ্যতেও বৈশাখী টেলিভিশন নতুন ধারার অনুষ্ঠান ও আসল খবর নিয়ে উপস্থিত থাকবে।’
