ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কিছু বাংলাদেশির গ্রেপ্তার হওয়ার খবর প্রকাশিত হলেও এই খবরকে সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) তাদের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে পুলিশ উল্লেখ করে, এরকম কোন তথ্য সত্য নয়।
এর আগে, এক ইউরোপপ্রবাসী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মী জুলকারনাইন সায়ের একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছিলেন, হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী আলমগীর শেখকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে ভারতে পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, এসব ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব, সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পী, মিরপুরের ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম, রুবেল ও ফিলিপস।
সাথে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, এই ব্যক্তিদের পাকড়াওয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অভিযান চলছে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায়। তবে সোমবার পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ফেসবুক পোস্টে জানায়, এই ধরনের গ্রেপ্তার বা ঝামেলার খবর মূলত গুজব এবং ভিত্তিহীন। তারা আরও বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট দেখা যাচ্ছে যেখানে বলা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বাংলাদেশীদের আটক করেছে; তবে এসব তথ্য সত্য নয়, গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তির চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে, গত রবিবার ঢাকা ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হাদি হত্যার মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম ও আলমগীর শেখ ভারতে পালিয়েছেন। তিনি জানান, মেঘালয় পুলিশের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন যে, ফয়সাল ও তার সহযোগী পুত্তি ও সামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এরপর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশ এই তথ্য অস্বীকার করেছে।
এমন অস্বীকৃতির বিষয়ে ঢাকার মহানগর পুলিশ ব্যাখ্যা দেয়, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, তদন্তের স্বার্থে নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এই বিষয়ের আপডেটের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

