আজ ৩০ বছর পরেও স্মরণে আঠুরে এই দিনটিতে চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয় চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের প্রতি। তার অবদান আমাদের সাংবাদিকতা জগতের জন্য এক অনন্ত অনুপ্রেরণা। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সোহাগ আরেফিন বলেন, দেশের মিডিয়া নেতৃবৃন্দ এবং নগরীর সাংবাদিকরা প্রায়ই ‘মফস্বল সাংবাদিকতা’ শব্দের সামনে তুচ্ছতা দেখেন বা তা নিয়ে তাচ্ছিল্য করেন। সেই অবজ্ঞার মাঝেও, মতভেদ থাকলেও মফস্বল সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকতার প্রতি যে লেগে থাকা, প্রেম এবং শ্রদ্ধা ছিল, তা আমাদের সকলের জন্য অবশ্যই গর্বের। তিনি আরো বলেন, মূলত এই ভুল ধারণাটা ভেঙে দিয়েছিলেন মোনাজাতউদ্দিন, একজন মফস্বল সাংবাদিক হিসেবে। আমাদের দেশের সাংবাদিকতা জগতে তিনি ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব, যিনি বিস্তারিত অনুসন্ধানে, সত্যের সন্ধানে, সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরতেন নিরলসভাবে। জীবনের অর্ধশত বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন, তুলে এনেছেন গ্রামের চিত্র, মানুষের যন্ত্রণার গল্প। তাঁর লেখা ১১টি বই, কাজের জন্য স্বীকৃতি হিসেবে পান একুশে পদক (মরণোত্তর), ফিলিপস পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা। কিন্তু তিনি সবসময়ই মনে করতেন, মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাই তাঁর সবচেয়ে বড় পুরস্কার। আজকের এই দিনে, যখন সাংবাদিকতা আর সংকটে, তখন তাঁর জীবনের পথচলা আমাদের জন্য শিক্ষামূলক। তিনি আমাদের দেখিয়েছেন, অসাধারণ সাহস, সততা, নিরলস পরিশ্রম আর মানুষের প্রতি সত্যের প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে কিভাবে একজন সাংবাদিক সমাজের প্রকৃত সেবক হতে পারেন। তার এই স্মৃতি আমাদের মনে এটাই বলে, সত্যের পথে থাকাই সবচেয়ে বড় কাজ।

