বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উন্নত কাজের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য একশ’ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দেবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারকও (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ‘আরএমজি সেক্টর সেফ ওয়ার্কিং এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর সুকোমল সিনহা চৌধুরী, পাবলিক ওয়ার্কিং ডিপার্টমেন্টের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কবীর আহমেদ ভূঁইয়া, বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শহিদুল্লাহ আজীম, বিকেএমইএ’র সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এইচ আসলাম সানি এবং জাইকার সিনিয়র রিপ্রেজেনটেটিভ হিরোকি তোমিতা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তাকাও তোদা, পরিচালক ইয়ুশিকো ইয়গ, বাংলাদেশের পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হাতেম, হাউজিং অ্যান্ড পাবলিক ওয়ার্কস মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খন্দকার সাখাওয়াত হোসেন।
কারখানায় কর্ম পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প মালিকদের তিন ধাপে জাইকা মোট একশ’ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা দেবে। এ সুবিধায় ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ৫ শতাংশ হারে ঋণ নেবে এবং ব্যাংকগুলো কারখানা মালিকদের কাছে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে ঋণ দেবে। কারখানার মালিকরা মাত্র ৬ শতাংশ হারে আবার কেউ ১০ শতাংশ হারে ঋণ দিতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, ”রানা প্লাজা ধসের ঘটনা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নেতিবাচক চিত্র বিরাজ করছে। এ দুর্যোগ থেকে আমাদের সামর্থ্য সম্পর্কে শিক্ষা নিতে পেরেছি।”