সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া শর্তের কারণে বাংলাদেশের হজ ফ্লাইট পরিচালনায় কোনও ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছে বিমান মন্ত্রণালয়। সচিবালয়ে বিমান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মহিবুল হক একথা জানান।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ বিমানের নিজস্ব তিনটি ফ্লাইট রয়েছে। যে ফ্লাইটগুলো গত তিন বছর সৌদিতে অপারেট করেছে। তবে, হজযাত্রী পরিবহনের জন্য যে দুইটি বিমান লিজ নেওয়া হয়েছে, সেই দুইটি বিমানের তিন বছরের অভিজ্ঞতা নেই। সেক্ষেত্রে এই দুইটি বিমান হয়তো আটকে যাবে। এ সমস্যা নিরসনে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি—আজকের দিনের মধ্যেই আমরা সৌদি সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক সমাধান পাবো। কাজেই হজযাত্রীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।’
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ শর্ত দিয়েছে লিজ বা ভাড়ায় সংগ্রহ করা কোনও বিমান দিয়ে সেদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে না। এ কারণে হজের মৌসুমে সৌদি আরবের সব রুটে টিকিট বিক্রি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর আগে এ বছর পূর্বনির্ধারিত হজ ফ্লাইটের বাইরে নতুন করে হজ ফ্লাইটের স্লটের অনুমতি দেবে না বলে জানায় সৌদি আরব। বিশ্বের সব দেশের জন্য এই শর্ত দিয়েছে সৌদি আরব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মহিবুল হক জানান, যদি লিজে নেওয়া বিমান দুইটি পরিচালনার ক্ষেত্রে সৌদি আরব সরকারের অনুমতি না পাই, তাহলে আমাদের নিজস্ব বিমান দিয়ে হজযাত্রীদের পূর্ব শিডিউল মোতাবেক সৌদি আরবে পাঠানো সম্ভব হবে; তাতেও কোনও সমস্যা হবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বছর সৌদি সরকার বাংলাদেশকে বাড়তি কোনও স্লট দেবে না, এটি আগেই জানানো হয়েছে। কাজেই সব হজযাত্রীকে আগে-ভাগে বিমানের টিকিট সংগ্রহ করে রাখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। সময়মতো টিকিট সংগ্রহ না করার কারণে যদি কোনও হাজি হজে যেতে সমস্যায় পড়েন, তাহলে হয়তো মন্ত্রণালয়ের কিছু করার থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, যেসব জটিলতায় গত বছর ২৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছিল, এ বছর আশা করছি-চারটি ফ্লাইটও বাতিল হবে না। কারণ, গত বছর এই সময়ের মধ্যে সাত হাজার হজযাত্রী টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু, এ বছর একই সময় ৫১ হাজার হজযাত্রী তাদের নিজ নিজ টিকিট সংগ্রহ করেছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, লিজে নেওয়া বিমান দুইটি যদি পরিচালনা করতে না পারি, তাহলে হয়তো কিছুটা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বিমান কর্তৃপক্ষ।