অনেক ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের ন্যায় করোনাকালে ক্রিকেট শুরু নিয়ে দোটানায় ছিল বিসিবিও। মাঠের ক্রিকেটের চেয়ে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা-সুরক্ষা এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনাই ছিল এখানে বড় চ্যালেঞ্জ। সঙ্গে বেশ ব্যয়বহুলও এভাবে ক্রিকেট পরিচালনা করা। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে করোনার বাস্তবতার মধ্যেও ক্রিকেট অব্যাহত রাখার আত্মবিশ্বাস পেয়েছে বিসিবি।
পরীক্ষামূলক এই প্রয়াস অনেকটাই সফলতার দিকে এগুচ্ছে। ওয়ানডে ফরম্যাটে তিন দলের এই টুর্নামেন্ট প্রায় শেষান্তে চলে এসেছে। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলছে দলগুলো। এখন পর্যন্ত বলার মতো কোনো বিচ্যুতির খবর আসেনি। করোনার ধাক্কাও চোখে পড়েনি। যা আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে বিসিবিকে। এই অভিজ্ঞতার আলোকে ভবিষ্যতে বড় টুর্নামেন্ট, আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজনের সাহস পাচ্ছে বিসিবি।
প্রায় সাত মাস পর ক্রিকেট মাঠে ফেরাতে পেরে স্বস্তিতে বিসিবি। গতকাল বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘অবশ্যই বেশ স্বস্তির। কারণ আমি মনে করি অনেক দিন পরে আবার খেলায় ফিরে আসা। সবচেয়ে বড় কথা আমরা শুরু করেছি। অনেকে বলছে ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না, ফিল্ডিং ভালো হচ্ছে না, এগুলো বিবেচনায় আনতে হবে কারণ অনেক দিন পর খেলা, কিছুটা প্রভাব পড়বেই। এটা ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। আরেকটা টুর্নামেন্ট হলে দেখা যাবে ঠিক হয়ে গেছে। আমি খুবই আশাবাদী।’
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপকে পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখছে বিসিবি। জালাল ইউনুস গতকাল বলেছেন, ‘আমাদের জন্য দেখার ছিল যে, আমরা বায়ো বাবল করে খেলাতে পারি কি না। এটা পরীক্ষামূলক ছিল। ভালোভাবে শেষ করতে পারলে ২৩ অক্টোবর ফাইনাল। এটা বিসিবির জন্য বড় অর্জন হবে।’
এই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর দিকেই চোখ রাখছে বিসিবি। মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ও বিসিবির এই পরিচালক বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় অভিজ্ঞতা হবে। যদি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করতে চাই। সফরকারী দল যদি আমাদের সেফটি প্ল্যান চায়, এটা আমরা দিতে পারব। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য।’