একদিকে বৈশাখের রুদ্র রূপ, অপরদিকে চলছে রমজান মাস, অন্যদিকে মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। এই তিন মিলে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে রায়পুরে তরমুজের দাম। তিনদিনের ব্যবধানে তরমুজের দাম বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। বর্তমানে বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) রায়পুর পৌর শহরের বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মান ও বাজার ভেদে তরমুজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, যা রোজা শুরু হওয়ার আগে ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। গত তিন দিন আগেও দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
তরমুজের এই অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার কারণে তরমুজের চাহিদা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে বিধিনিষেধের কারণে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরমুজ কম আসছে। এছাড়া তরমুজের মৌসুমও শেষ হয়ে আসছে। এসব কারণেই তরমুজের দাম বেড়ে গেছে।
শহরের ১০০ টাকা কেজি তরমুজ বিক্রি করা ইব্রাহীম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার তরমুজের দাম বেশি। গত বছর এমন সময় ৬-৮ কেজি ওজনের একটি তরমুজ বিক্রি করেছি ২০০ টাকার মধ্যে। এবার পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রিই হয়নি। শুরু থেকেই কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
পৌর শহরের তরমুজ পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি পিচ তরমুজের দাম ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে এখন ৪০০ টাকার নিচে কোন তরমুজের দাম নেই।