সাইবেরিয়ান প্রজাতির পোষা বিড়াল ‘জেবু’ কে ঘিরে গল্প লিখেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। এই প্রতিবেদন সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে তার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সেখানে বড় হয়ে ওঠার সময়, তার দৈনন্দিন কার্যকলাপ, স্বভাব-প্রকৃতি ও পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্কের নানা দিক বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছেন।
জাইমা রহমান লিখেছেন, গত ১৭ বছর পরে তিনি তারেক রহমান, স্ত্রীর জুবাইদা রহমান ও নিজের পরিবার নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। তাদের সঙ্গে সৌভাগ্যক্রমে এসেছেন তাদের পোষা প্রাণী ‘জেবু’, যেটা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই বিড়ালটি রাশিয়া থেকে আনা সাইবেরিয়ান প্রজাতির, তার বয়স প্রায় সাত বছর। এই জাতের বিড়ালগুলো একটু বড় টমের মতো, শরীরে ঘন ও নরম তিন স্তরের লোম থাকে। স্বভাব সাধারণত শান্ত হলেও তারা আত্মবিশ্বাসী, এবং মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারে—অতএব, অনেকের কাছে এরা আন্তর্জাতিক মনোভাবাপন্ন বন্ধু বা ‘ইমোশনাল কম্প্যানিয়ন’ হিসেবে পরিচিত।
জাইমা রহমান তাঁর ফেসবুকে উল্লেখ করেন, ‘জেবু’ তার ছোটবেলার গল্পের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বলেন, প্রথম সময়ে যখন তাকে ছোট বিড়ালছানার মতো তার বাসায় এনেছিলেন, তখন ভাবতে পারেননি যে একদিন সে পরিবারের এমন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হবে। এমনকি, পরিবারের সদস্যরা আবেগের সাথে জেবুর খবর নিতেন—প্রথমে তার বাবা-মা, পরে আমি। আমি অনুভব করি, থাকতেই তিনি আমাদের দয়া, ধৈর্যশীলতা ও প্রাণীপ্রেম শেখাচ্ছেন।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যেকোনো প্রাণীকে লালন-পালন করাটা একটা বড় দায়িত্ব। কারণ, তারা আল্লাহর সৃষ্টি, তারা জীবন্ত। যখন মনে পড়ে জেবুকে প্রথম বাসায় এনেছিলাম, তখন ভাবিনি সে আমাদের এত কাছের হয়ে উঠবে। বর্তমান পরিবর্তন অনেক কষ্টের, বিশেষ করে যখন ও মহাদেশ পার হয়ে নতুন পরিবেশে এসেছে। যদিও এই পরিবর্তন কঠিন, তবে পরিবারের সবাই এটাকে স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করেছে।
জাইমা আরও বলেণ, ‘জেবুর মাধ্যমে আমরা সবাই ধৈর্য্য শিখেছি, অন্য প্রাণীদের জন্য ভালোবাসা ও যত্ন নেওয়ার মূল্যবোধ জেগে উঠেছে। এটি স্পষ্ট যে, ভালোবাসা কোনও প্রজাতির সীমা মানে না। আমি বিশ্বাস করি, যারা জীবের দায়িত্ব নেয়, তারা নিজের মধ্যে অনেক কিছু শিখে ফেলে, যা হয়তো তারা কল্পনাও করেনি।
অতঃপর, তিনি মজার এক তথ্য শেয়ার করেন। ‘জেবু কখনো ‘মিউমিউ’ করে না। না, আলমারিতে আটকে গেলেও নয়। বরং, খুশি বা অবাক হলে পাখির মতো নরম আওয়াজ করে। অনুমতি ছাড়াই কোলে নিলে হালকা বিরক্তিতে গোঁ গোঁ করে। আর যারা ওকে পছন্দ করে না, তারা বেশ জোরে চিৎকার করে।
এই গল্পের মাধ্যমে জাইমা রহমান মানুষের মনে প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা ও যত্নের বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন, যা আমাদের সকলের জন্যই অনুপ্রেরণা।

