১৪ জুলাই শনিবার ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২ কোটি ১৯ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল রংয়ের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে লাল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সারাদেশে ৬-১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৪ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। কাচি দিয়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চিপিয়ে শিশুকে খাওয়ানো হবে। ’
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ছাত্র-শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ সবার সার্বিক সহযোগিতায় দেশব্যাপী ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত আরও ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চ ঘাট, ফেরি ঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু ব্রিজ, দাউদকান্দি ও মেঘনা ব্রিজ, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, খেয়া ঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। তবে দুর্গম এলাকা হিসেবে ক্যাম্পেইন পরবর্তী চার দিন (১৫ -১৯ জুলাই) ১২টি জেলার ৪২টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের সার্চিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’
অভিভাবকদের সতর্ক করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘শিশুদের অবশ্যই ভরা পেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। জোড় করে বা কান্না করার সময় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো ঠিক হবে না। এছাড়া ৬ মাসের কম বয়সী ও ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ালে কোনও শিশু অসুস্থ হয় না। ভিটামিন এ শিশুদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, শিশুর মৃত্যুর হার কমায় ও শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করে। এছাড়া ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও হামের জটিলতা কমায়। তবে কোনও অবস্থায়ই অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবেন না।’