বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনীতিতে ভয়াবহ সংকট চলছে। সবখানে অন্ধকার, বিভক্তি। এই বিভক্তি বিয়ের অনুষ্ঠানেও চলে এসেছে। সামগ্রিকভাবে ঐক্যবদ্ধ না হলে চলমান এই অন্ধকার থেকে বের হওয়ার ব্যাপারেও সংশয় প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
বুধবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ক্রিকেট অঙ্গন নামে একটি সংগঠন সভার আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, দেশ একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে আছে। খেলাধূলা, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সবখানে আজ বিভক্তি আর অন্ধকারের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি আমাদের এগিয়ে নিতে পারবে না। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এই অন্ধকার দূর করা সম্ভব বলেও তিনি মনে করেন।
বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে সরকারের নানা অভিযোগের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বন্দি হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। আমরা তাকে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের ‘লৌহ মানবী’ বলি। অথচ তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের নামে এই অবৈধ সরকার মিথ্যা মামলা দেয়। তাদের পাকিস্তানের চর হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করে, এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সমালোচনা করেন। তিনি বলেন,আরাফাত রহমান কোকোর মত এতো বড় ক্রীড়া সংগঠক অকালে মৃত্যুবরণ করলেন। কিন্তু, এই বোর্ড একটি শোকবার্তাও দিল না। তার দাবি, বিসিবি শোকবার্তা দিলে তো ছোট হয়ে যেতো না, বরং বড় হতো। শোক জানায়নি, এতে কিছু যায়-আসে না। লাখ লাখ মানুষ কোকোর জানাজায় এসে তার জনপ্রিয়তা প্রমাণ করেছেন।
স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু, সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার জামিল, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার তানজিব আহসান সাদ প্রমুখ।