বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়মিত অনুসারী হয়ে থাকলে আপনার কাছে এই শিরোনাম নিশ্চিতভাবেই খুব পরিচিত।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সঙ্গে শিরোনামটা যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। প্রতি বছরই প্রায় এমন শিরোনামের খোরাক হয় শেরেবাংলার ‘উইকেট’।
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। করোনাকালে দীর্ঘ ছয় মাস বিশ্রাম পেয়েছে ২২ গজের পিচ। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরু হতেই সেই আগের মতো স্লো উইকেট এবং রানের দেখা নেই! বলও নিচু হয়ে যাচ্ছে মাঝে মধ্যে।
এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ হয়েছে। দলগত সর্বোচ্চ ১৯৭ রান করেছে নাজমুল শান্তর একাদশ। তার আগে মাহমুদউল্লাহর একাদশ ১৯৬ রান করেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে অবস্থা আরো করুণ হয়ে দাঁড়ায়। ৫০ ওভারে ম্যাচ, দুই দল মিলে খেলেছে ৫০.১ ওভার। তামিম বাহিনী ২৩.১ ওভারে গুটিয়ে গেছে ১০৩ রানে, ২৭ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
স্লো, লো বাউন্সের উইকেটে বল করে অভ্যস্ত বাংলাদেশের বোলাররা। সেখানেই বল হাতে দুর্ধর্ষ রূপে ধরা দিলেন রুবেল, সমুন খানরা। নিজেদের চেনা কন্ডিশনে ব্যাটসম্যানদের জন্য জমদূত হয়ে ধরা দেন পেসাররা।
কিন্তু এতদিন বিশ্রামের পরও কেন শেরেবাংলার উইকেটে রান নেই?
জানতে চাইলে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু গতকাল বলেছেন, ‘উইকেট একটু ড্যাম আছে। বৃষ্টি হচ্ছে, গরমও প্রচণ্ড। উইকেট ঘেমে যায়। দেখেন বল বেশ গ্রিপ করছে। বল পড়ে নিচে যাচ্ছে।’
ব্যাটসম্যানদের ম্যাচ খেলার অনভ্যস্ততাকেও রান খরার একটি কারণ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচ খেলে না অনেক দিন। অনভ্যস্ততা আছে সবার। অনেক দিন পর সাদা বলে খেলছে। একটু সময় লাগবে। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরে আসবে আশা করি। যত ম্যাচ খেলবে সব ঠিক হয়ে যাবে।’
মুশফিক, লিটন দাসদের ব্যাটে দ্রুতই রান দেখা যাবে বলে আশা নান্নুর। তিনি বলেছেন, ‘ওরা কোয়ালিটি ব্যাটসম্যান। রান করবে। একটু মিসটাইম হচ্ছে, প্লেইড অন হচ্ছে। ২-৩টা ম্যাচ পর দেখবেন সাবলীল হয়ে যাবে।’
আজ টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে তামিম একাদশের বিরুদ্ধে খেলবে নাজমুল একাদশ। প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়া তামিমরা মুখিয়ে থাকবে জয়ের জন্য। যদিও দলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম গোড়ালিতে হালকা চোট পেয়েছেন। বোলিং হ্যান্ডে চোট আছে লেগ স্পিনার মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদির। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের আশা দুজনই আজ খেলতে পারবেন। ম্যাচ শুরু হবে দুপুর দেড়টায়।