সরকারি কর্মচারীরা ফৌজদারি অপরাধ করলেও তাদের গ্রেফতার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করেছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মো.মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালত বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে পূর্বানুমতির বিধান বেআইনি, সংবিধান ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী।
২০১৮ সালে প্রণীত সরকারি চাকরি আইনের ৪১(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে তাহাকে গ্রেফতার করিতে হইলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।’
২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে দুর্নীতি দমন কমিশন সংশোধন বিল, ২০১৩ পাশ হয়। এতে নতুন করে ৩২(ক) ধারা যুক্ত করে বলা হয়, এই আইনের অধীনে জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ ধারা আবশ্যিকভাবে পালন করতে হবে। ফলে সরকারের অনুমোদন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জজ, ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে দুদক কোনো মামলা করতে পারবে না। এই ধারা চ্যালেঞ্জ করে ঐ বছরই হাইকোর্টে রিট করেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরসেদ। ২০১৪ সালে ঐ রিটের রায়ে হাইকোর্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি-সংক্রান্ত দুদক আইনের ৩২(ক) ধারা অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী বলে ঘোষণা করে।